সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত।
দেশের যে কোন স্থান থেকে বাস যোগে সুনামগঞ্জ এসে টেম্পু/সিএনজি/নৌকা যোগে যাদুকাটা নদীতে যাওয়া যায়।
যাদুকাটা নদী:
ভারতের মেঘালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে যাদুকাটা নদীটি তাহিরপুর উপজেলার উত্তর পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেতরে উপজেলার ফাজিলপুরে নামক স্থানে নাম নিয়েছে রক্তি। এখানেই নদীটি বৌলাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। বৈচিত্রময় মনোহর রুপের কারণে পাহাড়ী নদী যাদুকাটাকে দেশের অন্যতম সৌন্দর্য্যরে নদী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
যাদুকাটা নদীটির ওপারে মেঘালয়ের বিশাল পাহাড় আর এপারে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত সুদৃশ্য বারেক টিলা। আর এই বারেক টিলার পাশ দিয়েই নদীটি বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেছে। এ কারণে দুই দেশের সীমান্তে নদীটি অপরুপ দৃশ্য ধারণ করেছে। মনে হয় যাদুকাটা যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভুমি। বর্ষায় এর বুকদিয়ে প্রবাহিত নদীর তীব্র ¯্রােতধারা আর হেমন্তে শুকিয়ে যাওয়া নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে ধুধু বালুচর এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
নদীর রাতে মেঘালয় থেকে নেমে আসা বালি আর পাথরের কারণে নদীটি সম্পদশালী ও গুরুত্বপূর্ণ। এর সবুজাভ স্বচ্ছ পানি পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। এ নদী থেকে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি ঘনফুট বালি, এক কোটি ঘনফুট নুড়ি, বোল্ডার ও ভাঙ্গা পাথর আহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে। নদীটিতে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করে থাকে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার হচ্ছেন বারকি শ্রমিক । (২ ফুট প্রস্ত আর ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি বারকি নৌকা। সাধারণত ২ জন শ্রমিক একটি বারকি নৌকা পরিচালনা করে থাকেন। নদী থেকে বালি কিংবা পাথর সংগ্রহ করে বারকি নৌকা বোঝাই করা হয়। একটি বারকি নৌকায় ৪০ থেকে ৫০ বর্গফুট বালি কিংবা পাথর নেওয়া যায়। নদীটিতে প্রতিদিন চলাচলকারী শত শত বারকি নৌকার সারি যাদুকাটা নদীর রুপকে অপরুপ করেছে।)
তবে বালি-পাথরের কারণে নদীটি নাব্যতা হারিয়েছে। শীতের শুরু থেকেই বড় নৌকার পরিবর্তে ছোট নৌকা চালাতে হয়। হেমন্তেকালে কয়েক মাস নৌ-চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় অধিকাংশ শ্রমিকই বেকার হয়ে পড়ে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস