মিডিয়া সেল: অদ্য ১২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখ সন্ধ্যা ০৭:০০ টায় জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে রাধারমন দত্ত সমাজ কল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত মরমী কবি রাধারমণ দত্ত এর ১০৪ তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ জনাব মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। উক্ত অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ জনাব মোঃ মিজানুর রহমান (বিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মোঃ মিজানুর রহমান (পিপিএম), জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আতাউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মাহ্ফুজুল আলম মাসুম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব বিধান কুমার দেব, জগন্নাথপুর সার্কেল এর এএসপি, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ তাজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, মরমী কবি রাধারমণ দত্তের ১০৪ তম প্রয়ান দিবস উদযাপন পরিষদ, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ। ২দিন ব্যাপী আয়োজীত অনুষ্ঠানে শুরুতে মরমী কবি রাধারমণ দত্তের আত্মার শান্তি কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব শফিকুল ইসলাম সফিক, রাধা রমন দত্তের ১০৪ তম প্রয়ান দিবস উদযাপন কমিটি, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ। উল্লেখ্য মরমী সাধক রাধা রমণ দত্তের পুরো নাম রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থ। তিনি ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯১৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যিকের একজন সাধক কবি। তিনি বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত। তার রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতের বাঙ্গালীদের কাছে পরম আদরের ধন। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। তিনি দেহতত্ত্ব, ভক্তিমূলক, অনুরাগ, প্রেম, ভজন, ধামাইলসহ নানা ধরনের কয়েক হাজার গান রচনা করেছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS