সুনামগঞ্জ জেলায় তাহিরপুর উপজেলায়
বর্ষায় সুনামগঞ্জ শহরের সাহেব বাড়ি নৌকা ঘাট হতে ইঞ্জিন নৌকা বা স্পিডবোট যোগে সরাসরি বারেকটিলা ও যাদুকাটায় যাওয়া যায়। সময় লাগবে ৪৫ মিনিট। খরচ হবে যাওয়া আসায় ৭-৮ হাজার টাকা। ইঞ্জিন নৌকায় খরচ হবে ২-৩ হাজার টাকা। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা।
বছরের যেকোন সময় সুনামগঞ্জ বৈঠাখালি খেয়া ঘাট হতে মোটরসাইকেল যোগে সরাসরি যাদুকাটা ও বারেক টিলা যেতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিটি, টাকা খরচ হবে জনপ্রতি ২০০টাকা। সরকারি বা বেসরকারি কোন উন্নত মানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহরে ফিরে যেতে পারেন। সেখানে রয়েছে আধুনিক রেস্ট হাউজ, হোটেল রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য সুবিধা ।
জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নান্দনিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা বারেক টিলায় ভ্রমনে আসেন প্রকৃতি প্রেমিরা। সারাদিন নাচ গান হৈ হুল্লর,ছবি তোলা রাতে নিজেদের রান্না করা খাবার আর আনন্দের যেন অন্ত নেই। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত হতে কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের নৌ-বিহারে প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে যাদুকাটার বুক। দর্শনার্থীদের কেউ মায়ার নদী কেউবা রুপের নদী বলে অভিহিত করেন এই নদীকে। বর্ষায় পাহাড়ি নদী যাদুকাটার বহমান স্রোতধারায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে ভীড় জমায় প্রকৃতি প্রেমিরা। আর হেমন্তে শুকিয়ে যাওয়া যাদুকাটার বুক জুড়ে ধুধু বালিচরে প্রিয়জন নিয়ে হেটে চলা ও যাদুকাটার স্বচ্ছ পানিতে গা ভাসিয়ে দিয়ে পরমতৃপ্তি বোধ করেন পর্যটকরা।
যাদুকাটা নদী থেকে হাত রাখলেই ছোঁয়া যায় শ্বাশত সবুজে ঘেরা বারেক টিলা। বারেক টিলায় ঘুরে ঘুরে যাদুকাটা নদীর প্রকৃত রুপ উপভোগ করা সম্ভব। বারেক টিলায় আদি বাসীদের একটি গ্রাম রয়েছে। সে গ্রামের নাম আনন্দনগর। সেই গ্রামের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা সহজ সরল ও আপ্যায়ন প্রিয়। বারেকটিলার সবুজ বনায়ন ও চারপাশে নদী, পাহাড় ও হাওরের মনোরম দৃশ্যে মন হারিয়ে যায় ভ্রমণ প্রেমিদের। যাদুকাটা নদীর তীরঘেঁষে পূর্ব-উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ আরেফিন (রহ) এর আস্তানা। নান্দনিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিদিনই বিকালে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে আসেন অনেকেই।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS